প্রত্যেক মানুষই মৃত্যুর মিছিলের নীরব যাত্রী…
মুহসিন হুসাইন রাজীব :: ৮নং তাড়ল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জননেতা আব্দুল কদ্দুস-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২২ সালের এই দিনে (২৯ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ৪ মেয়েসহ, অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
প্রত্যেক প্রাণীকেই ইচ্ছা-অনিচ্ছায় মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। তবে কিছু মানুষের মৃত্যু সারাজীবন মানুষকে কষ্ট দিয়ে যায়।
আজ আপনার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ভাবতেও অনেক কষ্ট লাগে। আপনি সারাজীবন আপনার কাজকর্মের কৃতিত্বের মাঝে মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন। আপনার অভাব এলাকার মানুষ হারে হারে অনুভব করছে। আপনি রাজার মতো এসে রাজার মতো কৃতিত্ব রেখে চলে গেলেন। আপনি বেঁচে থাকবেন হাজারো গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষের হৃদয়ে। কারণ আপনি ছিলেন তাদের একমাত্র ভরসাস্থল।
পরিশেষে এই কামনা করি, মহান রাব্বুল আলামিন যেন আপনি আপনাকে জান্নতবাসী করেন। আমিন।
প্রসঙ্গত, আব্দুল কদ্দুস নির্বাচনে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে নিজ এলাকায় একটি বাজার স্থাপনের উদ্যোগ নেন। তাড়ল ও সরমঙ্গল ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণের সুবিধাজনক স্থানে স্থাপন করা হয় বাজারটি। এলাকাবাসী তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাজারটির নামকরণ করা হয় ‘টেলিফোন বাজার’। বাজারটির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল কদ্দুসের মৃত্যুতে বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ রেখে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে শোকাহত পরিবারের প্রতি টেলিফোন বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ সমবেদনা জানান।