মনজু বিজয় চৌধুরী॥  কুলাউড়া থানার ওসির বিরোদ্ধে স্বাক্ষী দেওয়ায় প্রতিহিংসার শিকার অসুস্থ এক প্রতিবন্ধী যুবক সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে। বৃহস্পতিবার ( ৩১ আগষ্ট) মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কুলাউড়া বরমচাল ইউনিয়নের কলিমাবাদ গ্রামের সাহেল খাঁন জানান, তিনি শারিরীক প্রতিবন্ধি, ডান হাত প্রায় দ্বিখন্ডিত, পেটে বড় ধরনের অপারেশন নিয়ে চিকি”সাধীন চলা অবস্থায় জিআর ১২৫/২০১২ইং মামলায় তার অনুপস্থিতিতে সাজা প্রাপ্ত হলে কুলাউড়া থানা পুলিশ ৪ আগষ্ট তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর কুলাউড়া থানার এসআই রায়হান কবির ও এসআই তাজুল হোসেন তার ছবি তোলেন। ওসি আব্দুস ছালেক প্রতিহিংসা বশত কুলাউড়া থানা ফেইসবুক পেইজে রাবার চোর,গাছ চোর, ৮টি মামলার আসামীসহ মানহানী কর কথা লিখে পারিবারিক, সামাজিক ভাবে অপদস্থ করতে পেইজে পোষ্ট করেন। তার উপর রাবার চুরি, গাছ চুরি সহ ৮টি মামলার কোন ভিক্তি নেই। এব্যাপারে সাহেল খাঁন ২৩ আগষ্ট সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি , ২৯ আগষ্ট মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেন। সংবাদ সম্মেলনের সাহেল আহমদ জানান, কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের একরাম নগর গ্রামের শহীদ আলীর স্ত্রী ১০ এপ্রিল কুলাউড়া থানার এসআই হারুনুর রশিদ , ওসি মো: আব্দুস ছালেক সহ চার জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রেকর্ড করতে ২০ হাজার টাকা ও কিছু দুস্কিৃতিকারী কর্তৃক তার বাড়িতে কেটে রাখা গাছ এসআই হারুনুর রশীদের উপস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গাছ গুলো উদ্ধার করতে ২০ হাজার টাকা দাবী করেন। এবং তার মামলাটি আমলেও নেননি। তাদের এই দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার নিকট একটি আভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসের হোসেন কর্তৃক তদন্ত সময় মো: সাহেল খান স্বাক্ষী দেন । যার কারণে ওসি আব্দুস ছালেক তাকে গ্রেফতারের পর মানহানীকর কথাবার্তা লিখে ফেসবুক পেইজে অপমান করার জন্য পোষ্ট করেছিলেন । বর্তমানে ওসির হুমকিতে প্রতিবন্ধী সাহেল খাঁন ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *