আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: গত এক দশকে যুক্তরাজ্যে দ্বৈত নাগরিক বা একাধিক পাসপাোর্টধারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সরকারি এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, এ সংখ্যা বাড়ার পেছনে ব্রেক্সিটও একটি কারণ।

 

অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকসের (ওএনএস) আদমশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস মিলিয়ে ছয় লাখ ১২ হাজার মানুষের কাছে দ্বৈত বা একাধিক পাসপোর্ট ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে এসে সেই সংখ্যা ১২ লাখ ৬০ হাজারে উন্নীত হয়েছে।

 

পরিসংখ্যানে আরো দেখা গেছে, ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের পাসপোর্টধারী নাগরিকের সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

 

১০ বছরের ব্যবধানে যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ ও ইইউ পাসপোর্টধারী জন্মগ্রহণকারী লোকের সংখ্যাও পাঁচগুণ বেড়ে এক লাখ ৫৬ হাজার ৪০০ জনে উন্নীত হয়েছে। আর যুক্তরাজ্যের বাইরে জন্ম নেওয়া যুক্তরাজ্য-ইইউ দ্বৈত পাসপোর্টধারী নাগরিকের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৪৭ হাজার।

 

২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আয়ারল্যান্ড ইইউ সদস্য হওয়ার পর ব্রিটিশ ও আইরিশ পাসপোর্টসহ যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে।

 

ওএনএসের কর্মকর্তা জে লিন্ডপ বলেন, গত এক দশকে অভিবাসন, অর্থাৎ ইইউ থেকে অনেক মানুষ যুক্তরাজ্যে স্থানান্তর হওয়ায় এই সংখ্যাটা বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বসতি স্থাপন করা পরিবারের সন্তানরা জন্ম নেওয়ার পর আমরা অল্প বয়সীদের মধ্যে দ্বৈত নাগরিকত্ব বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি।’

 

লিন্ডপের মতে, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আসার পর অবাধ চলাচলের সুযোগ কমে আসায় দ্বৈত পাসপোর্ট নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

 

২০১৬ সালে গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেওয়ার পর ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আসে।

 

-সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *