ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের গেজেট বাতিলের দাবিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-দলই ভ্যালীর নেতারা। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীনের হাতে এ স্মারকলিপি দেন তারা। এর আগে উপজেলা পরিষদের কাছে সমাবেশ করেন চা শ্রমিক নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক সম্পাদিত গেজেট সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক উপায়ে প্রণীত হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী চা শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত গেজেট সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের (ত্রিপক্ষীয়) আলোচনায় সম্পাদিত হয়। কিন্তু এই গেজেটটি শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোন আলোচনা ছাড়াই গৃহীত হয়েছে। গেজেটটিতে প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে চা শ্রমিকদের মজুরি মাত্র ১৭০ টাকা। পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি হলে মজুরি বাড়বে মাত্র সাড়ে ৮ টাকা। আমরা দেখেছি গত কয়েক বছর ধরে জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্বিগুণ বা তিন গুণ হচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা সামনের সময়ে দ্রব্য মূল্য আরও বাড়বে। এ অবস্থায় মাত্র পাঁচ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি চা শ্রমিকদের সাথে চূড়ান্ত প্রতারণা। অবিলম্বে চা শ্রমিক স্বার্থবিরোধী গেজেট বাতিল করে ৫০০ টাকা মজুরি প্রণয়ন ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু—দলই ভ্যালীর সভাপতি ধনা বাউরী ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস পাইনকার নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সহ-সভাপতি গায়ত্রী রাজভর, মৃর্তিঙ্গা চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মন্টু অলমিক, মাধবপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি বাবুল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক গোপাল রাজভর, ডবলছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি সঞ্জু তাঁতী, মদনমোহনপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি উমা শংকর গোয়ালা, সাধারণ সম্পাদক অযোদ্ধা কৈরি, কুলাউড়ার তিলকপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি বীরবল গোয়ালা, ফুলবাড়ি চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মনোরঞ্জন পাল, সাধারণ সম্পাদক সিতাংশু পাল, নুরজাহান চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি তরনী ফুলমালী, সাধারণ সম্পাদক বিক্রম চান কানু, পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকনেতা আমিনুল ইসলাম, শমসেরনগর চা বাগানের পঞ্চায়েত সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত কানু গোপাল, পদ্মছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি কৃষ্ণ লাল দেশোয়ারা, সাধারণ সম্পাদক লক্ষী নারায়ণ সাধু প্রমুখ।