লন্ডনে মতবিনিময় সভায় বক্তারা
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ও মৌলভীবাজার-২ আসনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের মতো তৃণমূল থেকে উঠে আসা পরীক্ষিত তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল একজন সফল রাজনীতিবিদ। হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, শাহ এস এম কিবরিয়া, দেওয়ান ফরিদ গাজী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর সিলেট বিভাগ থেকে জাতীয় রাজনীতিতে তাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে শফিউল আলম চৌধুরীই বৃহত্তর সিলেটর মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা- তিনি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে মৌলভীবাজার-২
আসনে (কুলাউড়া) থেকে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেন। এ দাবি শুধু কুলাউড়াবাসীর নয়, দলমত নির্বিশেষে সিলেট বিভাগের সর্বস্তরের মানুষের। মঙ্গলবার লন্ডন সময় সন্ধ্যা ৭টায় ইস্ট লন্ডনের লন্ডন এন্টারপ্রাইজ অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সঙ্গে প্রবাসী কুলাউড়াবাসী আয়োজিত মতবিনিময়সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, সমাজসেবা ও মানুষের কল্যাণে শফিউল আলম চৌধুরীর পরিবারের অবদান রয়েছে। তার পিতা, পিতামহ এবং মাতামহ সকলেই মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বৃহত্তর সিলেটর মানুষ এই পরিবারকে সম্মানের চোখে দেখেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু দলের সাংগঠনিক সম্পাদকই নয়, বিসিবির পরিচালক, সেই সাথে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্বের সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি সফলতার সাথে পালন করছেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রবাসী নেতা সিতাব চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং আমিনা আলী, আদেল চৌধুরী ও শাহিন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শতাব্দী কর ও শেফালী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মিসবাহ কামাল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দা নাজনিন সুলতানা শিখা, বিবিসির সাবেক সেক্রেটারি শাহানূর খান, বিসিএর প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম, মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী রিপন, সৈয়দ তামিম আহমদ, কাওছার চৌধুরী, তারিফ আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক, তৌহিদ ফিতরাত হোসেন, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, আহমেদ হাসান. রবিন পাল, সৈয়দ ছুরুক আলী, সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, সৈয়দ নাহাস পাশা, আনসার আহমদ উল্লাহ, লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি তাইছির মাহমুদ, সেলিম খান, জামাল খান, মাহমদ আলী প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের উপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি ও ডিবিসি টেলিভিশনে তাঁর সাক্ষাৎকার প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়। মতবিনিময়সভায় শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক/সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করেছি। নেত্রী আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন; নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি।
তিনি বলেন, রাজনীতি মানে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা। যারা রাজনীতি করেন, তাঁদের সকলেরই একটি ভিশন থাকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার। জনপ্রতিনিধি হলে মানুষের সেবা করার বেশি সুযোগ পাওয়া যায়। আমার ভিশন ছিল, মানুষের সেবা করতে আইন পরিষদের সদস্য হওয়ার; তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জন্মভ‚মি কুলাউড়া থেকে নির্বাচন করার। রাজনীতির পাশাপশি নির্বাচিত হলে মানুষের সেবা করার আরও বেশি সুযোগ পাবো। নেত্রী এবং দলের প্রতি আমার আনুগত্য রয়েছে। আমার বিশ্বাস, নেত্রী আমাকে আরও বেশি কাজ করার সুযোগ দেবেন। এই আসন থেকে দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমি মেনে নেবো।
নাদেল আরও বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই দেশে-বিদেশে শুরু হয়েছে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান এবং একজন নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ ও দেশের কল্যাণের জন্য আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে। কয়েকটি বিদেশি জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৭০% মানুষ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। এতে তারেক রহমান ও দেশবিরোধীরা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করছে। তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি যদি এবার নির্বাচনে না আসে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না। এসময় তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার আহবান জানান।