ডায়াল সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের রাজনগর কৃষি ব্যাংক শাখা থেকে উৎকোচ ছাড়া লোন পাচ্ছেন না প্রান্তিক কৃষকরা। এ ধরনের অভিযোগের ভিক্তিতে ইতিমধ্যে শাখা ব্যবস্থাপক এস এম আমিনুল ইসলাম মাঠ তদন্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ও ব্যাংকের গার্ডকে শাহীনকে সাসপেন্ট করা হয়েছে। মাঠে নেমেছে তদন্ত টিম। ঢাকা কেন্দ্রীয় কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম সাখাওত হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের গত রবিবাব ৮ অক্টোবর রাত থেকেই তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত কমিটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষি লোন গ্রহীতার বক্তব্য নিয়েছেন বলে জানাগেছে। সরেজমিনে গিয়ে রাজনগর কৃষি ব্যাংক শাখায় ঘুষ কেলেংকারী বিষয় অভিযোগকারী বাপ্পী নামের কোন ব্যাক্তির লোন নিয়েছে বলে ব্যাংকে প্রমান পাওয়া যায়নি।
রক্তা গ্রামের আতিকুর রহমানের পিতা আবুল কালাম বলেন, আমার ছেলে রাজনগর কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা কৃষি ঋন নিয়েছে। তবে ঋন নিতে গিয়ে কোন প্রকার ঘুষ আমাদের নিকট কেউ চায়নি। তার ছেলে আতিকুর রহমান বলেন, আমি কৃষি ঋনের ব্যাপারে কোন ঘুষ লেন দেন করিনি। কেহ যদি আমার নামে ঘুষ দিয়েছি বলেন সে উক্তি মিথ্যা।
রক্তা গ্রামের ঋন গ্রহীতা মিনত আলী বলেন, ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা কৃষি ঋন নিয়েছি তবে কোন ঘুষ দিতে হয়নি। আমাদের নাম উল্লখ করে যারা অভিযোগে কেন করেছে তা বুঝতে পারছিনা। নোয়াগাওর আব্দুল আউয়াল, মুক্তেশর দাশ, পাঁচগাও গ্রামের ইমরুল, রক্তা গ্রামের সোহেল বলেন, দুই লাখ টাকা কৃষি ঋন নিয়েছি। কাউকে তো কোন টাকা পয়সা দিতে হয়নি। রাজনগরের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী রহমান ভেরাইটিজ স্টোর মালিক মো: সাদিকুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘ দিন থেকে রাজনগর কৃষি ব্যাংকের সাথে ঋন তুলে লেনদেন করছি, বর্তমানে ২০ লাখ টাকা সিসি ঋন আছে। কিন্তু আমার নিকট থেকে কেউ কোন টাকা পয়সা চায়নি। পাঁচগাও ইউনিয়নের খালদার গ্রামের মিনার হোসেন ইপুর ৩ লাখ ঋনের প্রসেসিং চলছে। তিনি বলেন, আমার কোন টাকা পয়সা দিতে হয়নি। শুধু আমার অন্য ব্যাংকে ঋন সংক্রান্ত যাছাই করতে যে সরকারী ফ্রি দিতে হয়েছে।
পাঁচগাও ইউনিয়নের মেম্বার তারের রহমান কর্নেল বলেন, ঋন তোলার বিষয় জন প্রতিনিধি হিসাবে সুপারিশ লাগে। প্রকৃত ঋন গ্রহীতাকে সুপারিশ করে দেই। পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মতিন ভাতা দেওয়ার কথা বলে ব্যাংকে দুই লাখ টাকার লোন পাশের বিষয় বলেন, মতিন মিয়ার জায়গা জমি আছে । ব্যাংকে সে জমির কাগজ জমাও দিয়েছে। পরে সে ম্যানেজাকে জানিয়েছে সে ঋন নেবেনা। আমার নির্বাচনীয় প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ব্যাংক নিয়ে অপপ্রচার করছে। এব্যাপারে কৃষি ব্যাংক প্রধান শাখার তদন্ত কমিটির প্রধান জিএম ষাখাওত হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগটি তদন্ত করতেছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা।
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *