আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ব্রিটিশ সরকারকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর দাবিতে মধ্য লন্ডনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলা জোরদার করার প্রতিবাদে আজ শনিবার এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয় বলে সংবাদ সংস্থা আরব নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

 

ভিডিওতে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি কর্মসূচির পদযাত্রায় বিপুলসংখ্যক মানুষ সমবেত হয়েছেন। ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় অতিক্রম করার পর পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভটি শেষ হওয়ার কথা।

ওয়াশিংটনের অবস্থানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সুনাক সরকার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো থেকে বিরত রয়েছে। এর পরিবর্তে গাজার মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য মানবিক করিডরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন সুনাক।

 

৭ অক্টোবর স্বাধীনতাকামী হামাস সেনাদের ইসরায়েল হামলার পর থেকে ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারকে’ সমর্থন জানিয়ে আসছে ব্রিটেন। ইসরায়েলের দাবি, ওই হামলায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।

 

তবে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান প্রকাশ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন। যদিও তাঁর দল লেবার পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব এ ব্যাপারে এখনো পশ্চিমা অবস্থানের পক্ষেই কথা বলছেন।

 

বিক্ষোভকারীদের একজন ক্যামিল রেভুয়েল্টা বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকা পরাশক্তিরা এ মুহূর্তে যথেষ্ট কাজ করছে না। তাই আমরা আজ এখানে জড়ো হয়েছি। আমরা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি, ফিলিস্তিনিদের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, মানবাধিকার এবং সমস্ত অধিকারের আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি হামাসের বিষয় নয়। এটি ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষার বিষয়।’

 

গত সপ্তাহে লন্ডনে আরও একটি ফিলিস্তিনপন্থী মিছিলের আয়োজন করা হয়, যাতে প্রায় ১ লাখ মানুষ অংশ নেয়। কয়েকজন আটক ছাড়া এই বিক্ষোভ বেশ শান্তিপূর্ণই ছিল।

 

শনিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে পুলিশ সতর্কতা জানিয়ে বলেছে, ‘বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের কোনো স্থান নেই এবং শহরজুড়ে ২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ইসরায়েলি দূতাবাসের চারপাশে বিক্ষোভে বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।’

 

এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের ভুল তথ্য ছড়ানো ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে ইরান বা অন্যান্য প্রভাবকের অস্থিরতা ছড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ক্লেভারলি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন করার পাশাপাশি হামাসের নিন্দা করা অযৌক্তিক কিছু নয়। তবে দুঃখজনকভাবে আমরা দেখছি মানুষ প্রভাবিত হচ্ছে এবং মিথ্যা ও বিকৃত তথ্যের ফাঁদে পড়ছে। আমি মনে করি, এই বিক্ষোভগুলোর পেছনে ছোট এক গোষ্ঠীর বেশ কিছু নেতিবাচক উদ্দেশ্য রয়েছে।’

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *