ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: গত কয়েক মাসে কারাগারে নির্যাতন চালিয়ে বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীকে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জনস্বার্থে এই রিট করা হয় বলে জানান বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

 

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘কারাগারে থেকে মৃত্যুর দায় রাষ্ট্র ও কারা কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। আমরা আবেদনে সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষকে আদালতে এসে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নির্দেশনা চেয়েছি। সেই সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়েছি। তবে সেখানে যাতে পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষকে না রাখা হয়।’

 

ব্যারিস্টার কায়সার আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা-উত্তর ইতিহাসে এত রাজবন্দী এত দ্রুত মারা যাননি। যেসব রাজবন্দী মারা গেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।’

 

এর আগে গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে দাবি করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

 

এদিন রিজভী বলেন, ‘কারা হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারও না কারও মৃত্যুর সংবাদ আসছে প্রায়ই। গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতনে বিএনপির অন্তত ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকটি মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’

 

রংপুর কারাগারে বন্দী গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি মহিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘মনোয়ারুলের বাবা ফজলে রহমান, ছোট ভাই হারুনসহ স্বজনেরা বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি সুস্থ-সবল মনোয়ারুলকে পুলিশ দিনের বেলায় বাসা থেকে তুলে থানায় নিয়ে যায়। এরপর সেই দিন আদালতে চালান না দিয়ে পরের দিন রাত পর্যন্ত থানায় আটকে রেখে বর্বরোচিত কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। যেটা আইনের চরম বরখেলাপ। তার সমস্ত শরীরে, পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের গভীর চিহ্ন দেখা গেছে।’

 

রিজভী বলেন, ‘পুলিশ নির্যাতন চালিয়ে মনোয়ারুলকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করেছে। মনোয়ারুলসহ কারা হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার আমরা আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছি।’

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *