রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদ শূন্য হচেছ। হাসিনা জমানার সর্বশেষ শূন্য হলো নির্বাচন কমিশন। আগের দুই কমিশন মেয়াদ পূর্ণ করলেও আড়াই বছরের মাথায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কের বোঝা নিয়ে হাবিবুল ফিরতে হয়। এর আগে অনেকগুলো সাংবিধানিক পদ শূন্য হয়। প্রধান বিচারপতি ও স্পিকার এদের মধ্যে অন্যতম। এই পটভূমিতে বাকি আছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রেসিডেন্টকে ঘিরে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। বলা হচ্ছে, তিনিও হয়তো সরে দাঁড়াবেন। যদিও এর কোনও সত্যতা মেলেনি।

 

নীতি-নির্ধারকদের তরফে কিছু বলা হয়নি। প্রেসিডেন্ট হাউস এর তরফ থেকে এমন কোন আভাস-ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
প্রেসিডেন্ট যদি পদত্যাগ করেন তাহলে কী হবে। সাংবিধানিক কি কোনও সংকট ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একই সঙ্গে দুটো দায়িত্ব পালন করবেন। যেমনটা করেছিলেন জরুরি জমানায় প্রেসিডেন্ট ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ।

গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন বর্ষা বিপ্লব বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এখন তিনি ভারতেই রয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তাকে চুপ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *