ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: জাপানের বাসিন্দা প্রাক্তন বক্সার ইওয়াও হাকামাদা বর্তমানে তার বয়স ৮৮ বছর। কোনও দোষ না করেই নিজের জীবনের অর্ধেকটা সময়ই কাটিয়ে দিলেন জেলের মধ্যে।  তার বস, বসের স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। যে ঘটনা পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সেই সময় হাকামাদাকে একটি স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং তাকে কোনও আইনজীবীর উপস্থিতি ছাড়াই জেরা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ইয়াও হাকমাদাকে ১৯৬৮ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এই দণ্ড নিয়ে সাবেক বক্সিং খেলোয়াড় হাকামাদা ৪৬ বছর কারাগারে ছিলেন। মামলায় নতুন প্রমাণ হাজিরের পর ২০১৪ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং পুনরায় বিচারের আদেশ দেওয়া হয়। হাকামাদাকে যেসব বিচারকরা শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিলেন , তাদের মধ্যেই এক বিচারক ২০০৮ সালে বলেছিলেন যে হাকামাদা নির্দোষ এবং তার পুনর্বিচারের দাবি করেছিলেন। ২০১৪ সালে একটি কোর্ট হাকামাদাকে মুক্তি দেয় এবং পুনর্বিচার মঞ্জুর করে। কোর্ট জানায়, নতুন ডিএনএ পরীক্ষার করে জানা গিয়েছে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত পোশাকের রক্ত হাকামাদার রক্তের ডিএনএ -এর সাথে মেলেনি। যদিও পুনর্বিচার শেষ হতে আরও ১০ বছর সময়ে লেগে গিয়েছিল। অবশেষে, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ শিজুকা জেলা আদালত হাকামাদাকে বেকসুর খালাস দেয়। হাকামাদা ধারাবাহিকভাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছিলেন। তার দাবি ছিল, তদন্তকারীরা তাকে দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করেছে। হাকামাদার আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ প্রমাণ নিয়ে জালিয়াতি করেছে। শিজুওকা জেলা আদালতের প্রধান বিচারক কোশি কুনি জানিয়েছেন, হাকামাদার ‘স্বীকারোক্তি’ জোর করে আদায় করা হয়েছে। হত্যার সময় হাকামাদা যে পোশাক পরেছিলেন বলে ওই সময় কৌঁসুলিরা দাবি করেছিলেন সেটি-সহ তিনটি প্রমাণ জাল করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, “তদন্তকারীরা জামাকাপড়ে রক্ত লাগিয়ে জালিয়াতি করেছে। অমানবিক মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা দিয়ে হাকামাদার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। জাপানের এই বিচারব্যবস্থা পুরো বিশ্বে সমালোচিত হয়েছে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *