ডায়ালসিলেট ডেস্ক :সিলেক্টিভ (বাছাইকৃত) নয়, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৮০ দিনঃ গতিমুখ ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
আমীর খসরু বলেন, যেখানে ঐকমত্যে হবে সেখানে সংস্কার করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে প্রত্যেকটি বিষয়ে ঐকমত্যে বিশ্বাসী হতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই। বিগত ১৬ বছরের বহু লোক জীবন দিয়েছে, চাকরি হারিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারিভাবে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদীদের দোসররা ফিরে আসার জন্য ঘোরাঘুরি করছে।
তিনি বলেন, গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছি। বাংলাদেশের নাগরিক মনোজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সবার মধ্যে আশা ও আকাঙ্ক্ষা জেগেছে। একটা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণ করতে হবে। জাতীয় ঐক্যর মাধ্যমে সবাই সরকার সমর্থন দিয়েছে। খসরু বলেন, সংস্কার জন্য ১০টা কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন নতুন দাবি উপস্থাপন করছে। তাদের দাবির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার বা কমিশনের দাবি এক কী না, তা আমরা জানি না। এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এই দাবিগুলো সংস্কারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সংস্কার কাজ চলমান প্রক্রিয়া। কোনো সরকার যদি বলে সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেবেন। তাহলে সেই সরকার সংস্কার কাজ বোঝে না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হলো-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা তা করে নির্বাচন দেয়া। এজন্য নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কাজে তাদের জোর দেয়া উচিত। এখন পর্যন্ত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সংস্কার করতে পারেনি এই সরকার।
সভার শুরুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ৮০ দিনের উপর ১০টি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী সৈয়দ এহসানুল হুদা, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ আলী আখন্দ, বাংলাদেশ এলডিপি’র চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।