স্পোর্টস ডেস্ক:এবারের নারী সাফে বাংলাদেশ মাঠের খেলায় আছে দারুণ ছন্দে, উঠে গেছে ফাইনালে। তবে মাঠের বাইরে শুরু থেকেই গুমোট ভাব। দলে বিভাজনের ইঙ্গিত, কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে সিনিয়র খেলোয়াড়দের মনোমালিন্যসহ নানা গুঞ্জন আছে। একপর্যায়ে বাটলার তো বলেই বসেন দলের একজন সাবেক কোচ মেয়েদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করছেন। এবার ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর বললেন, আমি মেয়েদের নিয়ে সবসময়ই খুশি। যারা এই মেয়েদের প্ররোচিত করতে চায়, তাদের কেউই আমি যে পর্যায়ে খেলেছি, তারা খেলেনি।

গতকাল ম্যাচ শেষে পিটার বাটলার বলেন, ‘আমি খুবই পেশাদার একজন মানুষ। যারা এই মেয়েদের প্ররোচিত করতে চায়, তাদের কেউই আমি যে পর্যায়ে খেলেছি, তারা খেলেনি। আমি যে পর্যায়ে কোচিং করিয়েছি, তারা করাইনি। সত্যি বলতে, এই বিষয়গুলো সামাল দিতে অনেক সময় শান্ত থাকা প্রয়োজন, আমি তাই করেছি (ম্যাচের আগে)।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ভালো খেলতে পেরে ভালো লাগছে। মেয়েরাও খুশি, কেননা, গত ছয়-সাত মাস আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ এবং আবহ আনার জন্য। যে প্রচেষ্টা এবং নিবেদন নিয়ে এই মেয়েরা খেলে, আমি তাদের নিয়ে সবসময়ই খুশি।’
এই ইংলিশ কোচ বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ৯০ মিনিট কোনো খেলোয়াড়ের চোট ছাড়া শেষ করা, পেশাদারভাবে নিজেদের কাজটা করে যাওয়া। আমাদেরকে একটা ভালো ফুটবল দলের মতো দেখাচ্ছে, এই টুর্নামেন্টে আমাদের আসলেই আরও ভালো হতে হবে। কোনো চোট নেই, গোলও পাচ্ছি, আমি আজ উপভোগ করবো। এরপর রিকভারি শেষে ফাইনাল নিয়ে ভাববো। ভালো দিক হচ্ছে, আমরা অনেক নতুন খেলোয়াড়কে খেলার সুযোগ দিতে পেরেছি, যাতে তারা একটু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’
ম্যাচের আগে অধিনায়ক সাবিনাকে নিয়ে শঙ্কা ছিল, জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তবে মাঠে ঠিকই নেমেছেন আর জোড়া গোলও করেছেন। অধিনায়কের প্রশংসায় বাটলার বলেন, ‘সাবিনা অসুস্থ ছিল, তবে আমি ভেবেছিলাম, সে ৪০-৪৫ মিনিট খেলতে পারবে। বিরতির সময় আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে বলল খেলা চালিয়ে যেতে পারবে। তবে, ৩৫-৪০ মিনিট খেলার পরই তাকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল, সে আসলেই ভালো দুটি গোল পেয়েছে। দলের জন্য সে একটা উদাহরণ।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *