আন্তর্জাতিক ডেস্ক:সিনেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পুত্রবধূ লারা ট্রাম্প। শনিবার তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন, জানুয়ারিতে আসছে বড় ঘোষণা। তিনি বড় কোনো পদ পেতে যাচ্ছেন, এ ঘোষণায় সেটাই বুঝাতে চেয়েছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, এবার রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির (আরএনসি) কো-চেয়ারওমেন হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তবে এ মাসে সেই পদ ত্যাগ করেন। জল্পনা আছে, ফ্লোরিডায় বিদায়ী সিনেটর মার্কো রুবিওর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন তিনি। ডনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্পের স্ত্রী লারা ট্রাম্প। তার জন্ম ১৯৮২ সালের ১২ই অক্টোবর। নাম রাখা হয় লারা লিয়া ইউনাস্কা। এরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তিনি লারা ট্রাম্প নাম ধারণ করেন। তিনি একজন আমেরিকান টিভি প্রযোজক, প্রচারণা বিষয়ক উপদেষ্টা এবং টেলিভিশনের সাবেক উপস্থাপিকা। এ বছর মার্চে আরএনসির কো-চেয়ার নির্বাচিত হন তিনি। ওদিকে ৫ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন মার্কো রুবিওকে।

আগামী ২০শে জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। তার আগেই সিনেটর পদ ত্যাগ করার কথা মার্কো রুবিওর। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্তিসের। এমন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লারা ট্রাম্প একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, অনেক মানুষের উৎসাহ, ধারণা এবং চিন্তাভাবনার পর তিনি নিজেকে সিনেটর পদ থেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, মার্কো রুবিওর ৬ বছরের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে। অথচ তার আগেই তাকে ডনাল্ড ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করলে আগেই তাকে পদত্যাগ করতে হবে। ফলে তার স্থানে ক্ষমতার মেয়াদের বাকি সময় ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্তিস আসবেন। এ জন্য ডিস্যান্তিসের জন্য শুভ কামনা জানান লারা ট্রাম্প। তিনি এক্সে লিখেছেন, আমার জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাকর নির্বাচনের সময়ে আরএনসির কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এটা আমার জন্য অনেক বেশি সম্মানের। দেশবাসী এবং ফ্লোরিডার জনগণের পক্ষ থেকে আমি যে অপ্রত্যাশিত সমর্থন পেয়েছি তার জন্য সত্যিকারভাবেই আমি উদ্বেলিত। লারা ট্রাম্প আরও বলেন, জানুয়ারিতে ‘বড় ঘোষণা’ আসছে। আরও জানান, জনসেবার প্রতি এখনও তিনি উৎসাহিত এবং ভবিষ্যতে জনগণের সেবা করতে চান। ওদিকে সিনেট পদে শক্তিশালী প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে এমনটা উল্লেখ করে গত মাসে রন ডিস্যান্তিস বলেন, জানুয়ারির আগেই এক্ষেত্রে সিলেকশন করা হবে। অর্থাৎ সিনেট পদে কাকে বসানো হবে তা বাছাই করা হবে। উল্লেখ্য, লারা ট্রাম্প আরএনসির কো-চেয়ার থাকার সময়ে তার শ্বশুর ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালাতে পেরেছেন। রিপাবলিকান নির্বাচনে লারা ট্রাম্প, তার স্বামী এরিক ট্রাম্প এবং দেবর ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ছিলেন শীর্ষ প্রচারক

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *