ডায়ালসিলেট ডেস্ক:বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, মামলার এজাহারে এক কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় এ মামলা করা হয়েছে।

পাশাপাশি মাসুদ বিশ্বাসের স্ত্রী কামরুন নাহারের নামে ৭২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৯ টাকার ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদের তথ্য পাওয়ায় তার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ‘অঢেল সম্পদ ও অর্থপাচারের’ অভিযোগ পাওয়ার পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। কমিশনের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দলকে এই অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর আগের সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নেওয়া শুরু করে দুদক। এর ধারাবাহিকতায় মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানেও আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামে সংস্থাটি।আর্থিক খাতের গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউয়ের এই সাবেক প্রধানের বিরুদ্ধে দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়, তিনি ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে’ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ কেনায় সন্দেহজনক অনিয়মের অভিযোগটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠিয়ে ‘ঘুসের বিনিময়ে’ এর ইতি টেনেছেন। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাটসহ আর্থিক অনিয়মের প্রতিবেদনকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন হিসেবে না পাঠিয়ে ‘সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন’ হিসেবে পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।অনিয়ম ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত হিমিদ্রী লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছিল। মাসুদ বিশ্বাস ‘আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে’ তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অর্থপাচারেরও আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ‘বিদেশে পাচার’, আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ থেকে ‘অনৈতিক সুবিধা’ নিয়ে বিদেশে ‘অর্থপাচার’, জিনাত এন্টারপ্রাইজের অর্থ পাচারের মামলা ‘ঘুসের বিনিময়ে’ ধামাচাপা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদের অভিযোগও রয়েছে এর মধ্যে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *