ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছিলেন, শিরোপা জিততেই দেশ ছাড়ছে তার দল। তবে সে মিশনে শুরুটা ভালো হলো না দলের। ৬ উইকেটে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করল বাংলাদেশ। শুভমান গিলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ভারত ২১ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয়।

 

দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শুরুতেই ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসেন শান্তরা। তখন দুই অঙ্কে অলআউটের শঙ্কাও মাথাচাড়া দিচ্ছিল বেশ করে।

 

তবে এরপর তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলির ব্যাটে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় দল। ষষ্ঠ উইকেটে তারা যোগ করেন ১৫৪ রান, যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। বাংলাদেশের ইতিহাসেরও সর্বোচ্চ ষষ্ঠ উইকেট জুটি এটা।

 

তাওহীদ হৃদয় দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন, শেষ পর্যন্ত ১০০ রান করে বিদায় নেন তিনি। জাকের আলিও গুরুত্বপূর্ণ ৬৮ রান করেন। তবে এই দুই ব্যাটার ছাড়া কেউই দলকে ভরসা দিতে পারেননি। ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

 

জয়ের জন্য ২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা ছিল ঝোড়ো। রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই ৬৯ রান তুলে ফেলেন। এরপর তাসকিন আহমেদ রোহিতকে ফেরান, কিন্তু গিল থামেননি। ১২৫ বলে সেঞ্চুরি করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

 

তাকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দেন লোকেশ রাহুল। যদিও রাহুল একবার ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন, কিন্তু জাকের আলির হাত ফসকে বেরিয়ে যায় বল। সেই সুযোগের পুরোপুরি ফায়দা নিয়ে ভারত সহজেই ম্যাচ জিতে নেয়।

 

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন রিশাদ হোসেন, যিনি বিরাট কোহলি ও অক্ষর পাটেলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন। মুস্তাফিজুর রহমানও গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন। তবে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপের সামনে তা যথেষ্ট ছিল না।

 

শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটের হার দিয়ে আসর শুরু করল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতা ও ফিল্ডিংয়ের ভুলের কারণে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি দল।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *