ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড়ে এক ব্যবসায়ীর বাসায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্ত্রী।

 

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জিয়াউল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং ঘটনার পর পুলিশ সরেজমিন ভুক্তভোগীর বাসা পরিদর্শন করেছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

তবে অভিযুক্ত সিলেট জেলা যুবদলের সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কাউছার আহমদ জুম্মান দাবি করেন, আমরা কয়েকজন বিচারপ্রার্থী হয়ে গিয়েছিলাম ফাহিমের কাছে। তার ভাইয়ের কাছে পাওনা টাকা ছিল; কিন্তু ওই সময়ে তিনি বাসায় না থাকায় আমরা কেয়ারটেকারের কাছে মোবাইল নম্বর দিয়ে চলে আসি। এখন শুনছি আমরা নাকি চাঁদা দাবি করেছি। সিসিটিভির ফুটেজ ও রেকর্ড শুনলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

 

এদিকে মামলার বাদী ফাহিমের স্ত্রী শামীমা আক্তার ইমা জানান, আমার বাসায় কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আসে। আমার স্বামীকে না পেয়ে কতিপয় সন্ত্রাসীরা আমার বাসার কেয়ারটেকারকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও হুমকি প্রদান করে। একইসঙ্গে তারা আমার স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অন্যথায় আমার বাসা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাই আমি আমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজ ও ছবিসহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এই ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

 

এদিকে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত রোববার সন্ধ্যায় নগরীর লালাদিঘীরপাড়ের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ফাহিমুল ইসলাম ফাহিমের বাসায় সিলেট মহানগর বিএনপির ১২নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. আমির আহমদ ও ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক ও সিলেট জেলা যুবদলের সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কাউছার আহমদ জুম্মানের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ যায়; কিন্তু ওই সময়ে ফাহিম বাসায় না থাকায় তারা বাসার কেয়ারটেকারকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি প্রদান করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা বাসায় আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়। এরপর রাতেই ব্যবসায়ী ফাহিমের স্ত্রী শামীমা আক্তার ইমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

 

 

অপরদিকে সরেজমিন পরিদর্শন করে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ অপকর্ম করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে যেই হোক। প্রশাসনকে অনুরোধ করব দুষ্কৃতকারী ও সমাজবিরোধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার।

 

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *