ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বাইরে ক্রিকেটের অর্থনৈতিক স্থিতি নিশ্চিত করতে ৫০ কোটি ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০৬৯ কোটি টাকা) টি–টোয়েন্টি লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব।

 

তবে ভবিষ্যৎ ক্রিকেট সূচিতে পর্যাপ্ত ফাঁকা সময় না থাকায় সৌদির প্রস্তাবিত লিগকে সমর্থন জানাবে না ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ দৈনিক সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে আজ বিষয়টি জানিয়েছেন ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড।

 

গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য এজ জানায়, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক বোর্ড সদস্য নিল ম্যাক্সওয়েল একটি পরিকল্পনা নিয়ে এক বছর ধরে গোপনে কাজ করছেন।

 

পরিকল্পনা অনুযায়ী, টেনিসে গ্র্যান্ড স্লামের আদলে সৌদি আরবভিত্তিক একটি টি–টোয়েন্টি লিগ চালু করবেন তিনি। এতে ৬০৬৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রীড়া বিনিয়োগকারী সংস্থা এসআরজে স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টস। এ ব্যাপারে আইসিসির সঙ্গে সৌদি ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের আলোচনাও চলছে।

 

কিন্তু ইসিবি প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড সৌদির পরিকল্পনায় যেন জল ঢেলে দিলেন। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে তিনি বলেছেন, ‘ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচি, বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সমাহার ও খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোড নিয়ে বিদ্যমান উদ্বেগের কারণে এ ধরনের পরিকল্পনার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কোনো কিছুকে আমরা সমর্থন করব না।’

 

২০২১ সাল থেকে ইংল্যান্ডে চলছে ক্রিকেটের আরেকটি ঘরোয়া সংস্করণ ‘দ্য হান্ড্রেড’, যা স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ১০০ বলের এই সংস্করণকে যেকোনো মূল্যে বাঁচিয়ে রাখতে চায় ইসিবি। সম্প্রতি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের কাছে ‘দ্য হান্ড্রেড’-এর আট ফ্র্যাঞ্চাইজির শেয়ার বিক্রি করে ১২৭ কোটি ডলার (১৫ হাজার ৪২৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা) সংগ্রহ করেছে তারা।

 

টেনিসের চারটি গ্র্যান্ড স্লামের মতো সৌদিও বছরের আলাদা সময়ে ভিন্ন চারটি দেশে টি–টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করতে চায়। ফাইনাল হতে পারে সৌদিতেই। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের টুর্নামেন্টও থাকবে। এটিকে লিঙ্গবৈষম্য দূর করার একটি উদ্যোগ হিসেবেই দেখছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সংগঠন (এসিএ)। তাই ইসিবি সৌদির প্রস্তাবিত লিগের বিরোধিতা করলেও এসিএ সমর্থন জানিয়েছে।

 

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সদস্যদের উপকার করে, এমন উদ্যোগকে সমর্থন জানাই। তাদের (সৌদির) ধারণার প্রতি আমাদের প্রাথমিক আগ্রহের কারণ হলো পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের জন্য সম্মিলিতভাবে সর্বোত্তম দর–কষাকষির ব্যবস্থা রাখা এবং আন্তর্জাতিক লিঙ্গসমতা বেতন মডেলের বিকাশ ও তা স্বাভাবিক করার ইচ্ছা পোষণ করা।’

 

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *