ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরিবর্তে তিনি একটি চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যক্রম সীমিত করার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। বুধবার সংবাদমাধ্যটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল মে মাসে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা এক বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়া। ইরানের পালটা হামলা থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করা এবং তেহরানে সফলভাবে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন তেল আবিবের। হামলার বিষয়ে কয়েক মাস আলোচনার পরে সামরিক পদক্ষেপ না নিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন।

 

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দফার বৈঠক শনিবার, ভেন্যু রোম ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি। ঘোষণায় আরও জানানো হয়, শনিবার অনুষ্ঠিত হবে বৈঠকটি। রোমের বৈঠকেও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে ওমান।

 

এর আগে, শনিবার ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত হয় দুপক্ষের পরোক্ষ বৈঠক। ওই বৈঠকে একসঙ্গে বসেননি দুপক্ষের প্রতিনিধিরা। আলাদা দুটি কক্ষে বসে পরোক্ষভাবে আলোচনা করেন তারা।

 

পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে ইরান খুব বেশি দূরে নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি। তেহরানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে এ মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

 

এতে বলা হয়, বুধবার ফরাসি পত্রিকা লে মন্ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রোসি বলেন, এ বিষয়টি ধাঁধার মতো। তাদের কাছে খণ্ড খণ্ড (পারমাণবিক) শক্তি আছে। একদিন তারা এগুলো একত্রিত করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, ইরানের ওই পর্যায়ে পৌঁছাতে এখনো বহু পথ বাকি থাকলেও সময়টা খুব বেশি দূরে নয়, যা আমাদের স্বীকার করতেই হবে।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *