ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: প্রথম দিনে না হলেও বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে এসে সিস্টিন চ্যাপেলের উপরে থাকা চিমনি দিয়ে বেরিয়ে এলো ঘন সাদা ধোঁয়া। এর মাধ্যমেই বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেওয়া হলো- ভ্যাটিকানের রোমান ক্যাথলিক চার্চ তাদের নতুন পোপকে খুঁজে নিয়েছে।

 

এ সময় সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অপেক্ষমাণ হাজারো তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীরা করতালিতে ফেটে পড়েন। এর অর্থ- চ্যাপেলের ভেতরে থাকা ১৩৩ কার্ডিনালের একজন দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে গোপন কনক্লেভ পেরিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন পোপ হিসেবে।

 

এদিকে সাদা ধোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার ঘণ্টাধ্বনি জানিয়ে দিল- নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কনক্লেভের দ্বিতীয় দিনেই চতুর্থ ব্যালটেই নির্বাচিত হয়েছেন নতুন পোপ। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

 

এর আগে ২০১৩ সালে যখন জর্জ বারগোলিও পোপ ফ্রান্সিস হন, তখনো সাদা ধোঁয়ার প্রায় ৪৫ মিনিট পর তিনি বারান্দায় এসে জনতার সামনে হাজির হন।

 

এপ্রিলে ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যু হয় পোপ ফ্রান্সিসের। দ্রুতই নির্বাচিত হলেন তার উত্তরসূরিও। বিশেষ করে এই কনক্লেভে যেহেতু বিপুল সংখ্যক কার্ডিনাল অংশ নিয়েছিলেন। এই কার্ডিনালদের অধিকাংশই ফ্রান্সিস নিজেই মনোনীত করেছিলেন, যারা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এসেছেন।

 

অনেকে বলছেন, এর ফলে এমন একজন পোপ আসতে পারেন যিনি ফ্রান্সিসের দৃষ্টিভঙ্গি ও কাজের ধারা অব্যাহত রাখবেন। তবে এমনটা নিশ্চিত নয়। কারণ অনেক নতুন কার্ডিনাল এমন দেশ থেকে এসেছেন যেখানে সামাজিক রক্ষণশীলতা প্রবল, যা ফ্রান্সিসের উদার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

 

পোপ ফ্রান্সিস অভিবাসী ও শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব, এলজিবিটিকিউ, ক্যাথলিকদের প্রতি খোলামেলা মনোভাব এবং জলবায়ু সংকটে পদক্ষেপের আহ্বানের মাধ্যমে অনেক রক্ষণশীল কার্ডিনালের বিরাগভাজন হন।

 

এদিকে কনক্লেভ শুরুর আগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট পিয়েত্রো প্যারোলিন, ফিলিপাইনের সংস্কারপন্থি লুইস অ্যান্তোনিও টাগলে, হাঙ্গেরির রক্ষণশীল পিটার এর্দো, গিনির ফ্রান্সিস-বিরোধী কার্ডিনাল রবার্ট সারা এবং যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থি রবার্ট প্রেভোস্ট।

 

তবে একটি প্রবাদ আছে, ‘যিনি পোপ হওয়ার আশায় কনক্লেভে প্রবেশ করেন, তিনি কার্ডিনাল হিসেবেই ফিরে আসেন’।

 

কারণ ভোটের পর্বে সত্যিকারের বিজয়ী অনেক সময় আগেভাগে আলোচনায় থাকেন না। যেমনটি হয়েছিল ২০১৩ সালে ফ্রান্সিসের ক্ষেত্রেও। ‍সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *