ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: ৫৯ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং ও ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। এদিন আদালতে দীপু মনি বলেন, ‘আমার ২৮টি ব্যাংক হিসাব আছে, এটা আমি নিজেও জানি না। আমার মাত্র ৬টি ব্যাংক হিসাব আছে। সব মিলিয়ে আমার ৬-৭ কোটি টাকার সম্পদ আছে।’
বুধবার (১৬ জুলাই) তাকে হাজির করা হয় আদালতে। পরে দুদকের উপ-পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়ার আদালত।
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ৫ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার ৫৩০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার ২৮টি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৩১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।
এদিন আদালতে দীপু মনি বলেন, ‘আমি খবরের কাগজে দেখেছি আমার বিরুদ্ধে ২৮টি ব্যাংকে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি কিছুই জানি না। আমাকে অন্ধকারে রেখে মামলা করা হচ্ছে। আমার ২৮টি ব্যাংক হিসাব আছে এটা আমি নিজেও জানি না, আমার মাত্র ৬টি ব্যাংক হিসাব আছে। সব মিলিয়ে আমার ৬-৭ কোটি টাকার সম্পদ আছে। আমি ন্যায় বিচার চাই, সত্যের পক্ষে, তথ্য ছাড়া লড়াই করার মতো আর কিছু করার নাই আমার। তাই আমার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা হচ্ছে তার তথ্য আমি চাই।’
পরে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন সব সময় তথ্য উপাত্ত দিয়ে কাজ করে। দীপু মনি নিজের নামে সব হিসাব তা বলছি, তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবেও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ এসেছে। পরে বিচারক অভিযোগের সকল নথিপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন।’
এদিন, কারাগারে আইনি সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে দীপু মনি বলেন, ‘১১ মাস ধরে জেলে আছি, মাত্র দুই দিন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করার সুবিধা দেয়া হচ্ছে না।’