ডায়াল সিলেট ডেকস

মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় । চলতি জুলাই মাসেই না খেয়ে অন্তত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনীর লাগাতার হামলা, সীমিত ত্রাণ প্রবেশ এবং কৃষিজমিকে ‘মিলিটারি জোন’ ঘোষণার ফলে গাজায় চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৫৯ জনে পৌঁছেছে।

রাইদ আল-আথামনা নামের এক গাজাবাসী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিদিন একটাই চিন্তা- আজ কী খাবো, পরিবারকে কী খাওয়াবো?’

তিনি জানান, এক মুঠো আটাও এখন অনেক দামে কিনতে হচ্ছে। শিশুদের খিদেয় কাঁদতে দেখে অসহায় হয়ে পড়েছেন। দিনরাত ইসরাইলি হামলায় প্রাণের ভয় তো রয়েছেই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা।

এদিকে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, গাজার ৮৮ শতাংশ অঞ্চল বর্তমানে ‘মিলিটারি জোন’ হিসেবে চিহ্নিত- এর অধিকাংশই কৃষিজমি। ফলে সাধারণ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নিচ্ছেন, যেখানেও শান্তি নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর প্রধান বলেন, ‘গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ চলছে। খাবার নেই, ওষুধ নেই-মানুষ ধুঁকছে।’

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের কর্মকর্তা রস স্মিথ জানান, গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে আছেন। নারী ও শিশুরাও এ দুর্দশার শিকার।

শেষবার মে মাসে গাজায় সীমিত ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরাইল। তখন আশা করা হয়েছিল পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হবে। কিন্তু দুই মাসের মাথায় সেই প্রত্যাশা ভেঙে পড়েছে। এখন এক টুকরো রুটি পেতেও লড়াই করতে হচ্ছে গাজাবাসীদের।

মানবিক সংস্থাগুলো গাজার জনগণের বাঁচার অধিকারে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *