ডায়াল সিলেট ডেকস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। এই সময়ে মার্কিন কংগ্রেসের হাউস স্পিকার মাইক জনসন এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে । তিনি দাবি করেন, গাজায় পৌঁছানো ত্রাণের একটি বিশাল অংশ ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক সংগঠন হামাস চুরি করেছে। তবে এই দাবির পক্ষে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিজেই কোনো প্রমাণ পায়নি বলে স্বীকার করেছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মার্কিন হাউস স্পিকার মাইক জনসন এনবিসি নিউজের সাংবাদিক ক্রিস্টেন ওয়েলকারকে বলেন, গাজার দুর্ভিক্ষের ছবি ‘হৃদয়বিদারক’ হলেও হামাস এই সংকটের জন্য মূলত দায়ী। ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যেও গাজার বাসিন্দাদের জন্য বিপুল পরিমাণ ত্রাণ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। জনসনের দাবির প্রেক্ষিতে সাংবাদিক ওয়েলকারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে, জনসন তার দাবির পক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ দিতে পারেননি।

 মাইক জনসন বলেন, “এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৯৪,০০০ ট্রাক ভর্তি খাদ্য গাজায় পাঠিয়েছে, যা ২০ লাখ মানুষকে দুই বছর খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট। কিন্তু হামাস এই খাদ্য চুরি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে। ২০২৪ সালে তারা অন্তত ৫০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে এই চুরি করা ত্রাণ বিক্রি করে, যা তাদের বাজেটের অর্ধেক।” জনসন আরও বলেন, এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে এবং জাতিসংঘের উচিত ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ নিশ্চিত করা।

তবে এনবিসি উপস্থাপক ওয়েলকার তার এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাই স্বীকার করেছেন, তারা কোনো প্রমাণ পাননি যে হামাস সংগঠিতভাবে জাতিসংঘ বা অন্যান্য সংস্থার পাঠানো ত্রাণ চুরি করেছে। এই স্বীকারোক্তি শনিবার (২৬ জুলাই) ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

গাজা উপত্যকায় বর্তমানে যে মানবিক বিপর্যয় চলছে, তার ভয়াবহতা আরও বেড়েছে যখন একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্ভিক্ষে কঙ্কালসার হয়ে পড়া শিশু ও বৃদ্ধরা ক্ষুধা ও পানির অভাবে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ছে। গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৯,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

তবে এনবিসি উপস্থাপক ওয়েলকার তার এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাই স্বীকার করেছেন, তারা কোনো প্রমাণ পাননি যে হামাস সংগঠিতভাবে জাতিসংঘ বা অন্যান্য সংস্থার পাঠানো ত্রাণ চুরি করেছে। এই স্বীকারোক্তি শনিবার (২৬ জুলাই) ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

গাজা উপত্যকায় বর্তমানে যে মানবিক বিপর্যয় চলছে, তার ভয়াবহতা আরও বেড়েছে যখন একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্ভিক্ষে কঙ্কালসার হয়ে পড়া শিশু ও বৃদ্ধরা ক্ষুধা ও পানির অভাবে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ছে। গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৯,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *