ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের চলমান সব পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আজ দ্বিতীয় দিনের মত নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া এবং চলমান পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এতে ওই সড়ক ও এর আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের দাবি একটাই চলমান পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে পরীক্ষা নিতে হবে।
ঢাকা কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুনায়েদ সিদ্দিকী বলেন, ‘একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়ে আমরা সেশনজটে পড়েছি। এর মধ্যে করোনা মহামারি আমাদের এক বছর পিছিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি পরীক্ষা শুরু হয়েছে এবং কোনো কোনো কলেজে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলছে, এর মধ্যেই আবার পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।’ তিনি বলেন, ‘হল-ক্যাম্পাস বন্ধ। পরীক্ষার কারণে আমরা মহামারির মধ্যে বাড়ি থেকে এসে মেসে উঠেছি। এমনিতেই অনেক সমস্যায় আছি। কিছুদিন পরপর এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে আরো সমস্যায় পড়ব। কর্তৃপক্ষকে আমাদের বিষয়ে ভাবতে হবে।
গত মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নীলক্ষেত মোড়ে প্রথমে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। রাত ১০টা পর্যন্ত তারা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। এ সময় তারা পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং স্লোগান দেয়।
বুধবার আবারো রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দুটি পরীক্ষা বাকি আছে। পরীক্ষার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছি। এখন বলেন পরীক্ষা স্থগিত আমরা এটা মানি না।
গত সোমবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, রোজার ঈদের পর আগামী ২৪ মে থেকে দেশের সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। তার আগে ১৭ মে আবাসিক হলগুলো খুলবে। খোলার আগে কোনো পরীক্ষা হবে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ও হল খোলার ঘোষণা দিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তও বাতিল হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের বৈঠক হয়। বৈঠকে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরেই শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে।