ডায়ালসিলেট ডেস্ক:সিলেটে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সিলেট সেনানিবাসে সমরাস্ত্র প্রদর্শনী, কেক কাটা ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্যগণ, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আয়োজনের মধ্যে সমরাস্ত্র প্রদর্শনী সবার কাছে ছিল আকর্ষণীয়।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস সেনানিবাসে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়ার কমান্ডার মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন। তিনি তাঁর বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টার চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বহিনী জাতীয় পর্যায়ে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রভৃতি কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. কামরুল আহসান, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. সোহেল রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। সেদিন থেকেই দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আগে তিন বাহিনী ভিন্ন ভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করত। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিন বাহিনী দিবসটিকে সম্মিলিতভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই থেকে ২১ নভেম্বরকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করে নেওয়াই এই দিবসের মূল তাৎপর্য।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *