নিজস্ব প্রতিবেদক::

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দক্ষিণ সুরমার রশিদপুরে নামকস্থানে এনা পরিবহন-লন্ডন এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় অর্থশতাধিক লোক আহত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৮জন ।

শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ সুরমার রশিদপুরের একটি ব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেস ঢাকা মেট্রো-ব, ১৫-৩১৭৬, সিলেট থেকে ঢাকামুখি এনা পরিবহন ঢাকা মেট্রো ব,১৪-৭৩১১

লন্ডন এক্সপ্রেসের যাত্রী জসিম আহমদ জানান,ঢাকা থেকে আসার বার বার গাড়ির চালক ওভারটেক করছিলেন।কয়েকবার সর্তক করেছিলেন। কিন্তু কথা শুনেননি। সুমন নামে আরেকজন জানান, গাড়িতে যাত্রী ছিলেন ২৮জন। তাদের সবাই আহত হয়েছেন।

এব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি,মো.মনিরুল ইসলাম বলেন  এ ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত হন। এর মধ্যে ১৫ জন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

জানা যায়,  দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সিলেটের উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. ইমরান খান রুমেল (৩৩), এনা পরিবহনের বাসেরচালক ওসমানীনগর উপজেলার ধরখা গ্রামের মঞ্জুর আলী (৩৮), এনার সুপারভাইজার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিঠাভরা গ্রামের সালমান খান (২৫), হেলপার ধরখা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন (২৪), বি বাড়িয়ার সরাইল থানার রাজানিয়াকান্দি পশ্চিম পাড়ার নুরুল আমিন (৫০), ঢাকার ওয়ারি এলাকার নাদিম আহমদবসাগর (২৯) ও সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকা শাহ কামাল (২৭) ও ছাতক বাংলাবাজার এলাকার রহিমা খাতুন (২৫)।

এদিকে  হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিসাধীনরা অবস্থায় রয়েছেন,  রেজাউল করিম (৫০), শামিম (২৩),  জসিম উদ্দিন (৩০), আলা উদ্দিন (৬০), সায়ান (১৬), সালাম (৪০), ডা. অন্তরা (৩০), চান বিবি (৬০), শারমিন (৩০), সীমা পারভিন (৩০),  সানাত (৩৫), মাহি (০৭), সুর্বনা (৩০) ও সেলিনা পারভীন (৩০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা   জানান, দ্রুত গতিতে লন্ডন এক্সপ্রেস ওভারটিক করে  সাইটে চলে আসার কারণে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিলেটগামী গাড়িটি ব্রিজ পার হয়েই বিপরীত দিক থেকে আসা এনা গাড়ির উপর উঠে যায়। এসময় প্রচণ্ড গতিতে এনা বাসের সঙ্গে লন্ডন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ ঘটে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক কোবাদ আলী সরকার বলেন, লন্ডন এক্সপ্রেস গাড়িটি রাস্তার ভুল দিকে এসে এনা বাসকে ধাক্কা দেয়। প্রাথমিকভাবে লন্ডন এক্সপ্রেসের ভুল বলে মনে হচ্ছে। দুর্ঘটনার আসল কারণ পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে  জানা যাবে।

অন্যদিকে দুর্ঘটনার পরপরই সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে  সব ধরণের যানবাহন বন্ধ থাকে। টরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান শেষে তিন ঘন্টা গর সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে  চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *