ডায়ালসিলেট ::

সিলেটের বিশ্বনাথে চাউলধনি হাওরে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে সুমেল আহমদ নামের ১০ম শ্রেনীর এক ছাত্র  খুন হয়েছে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আরো ৪ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথে চাউলধনি হাওরে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমেল আহমদ শুকুর (১৭) ওই গ্রামের মানিক উদ্দিনের ছেলে ও নজির উদ্দিনের ভাতিজা। সে স্থানীয় শাহজালাল (রহ.) উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

গুলিবিদ্ধ বাকি ৪ জন হলেন- নজির উদ্দিন, তার ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনির উদ্দিন ও নিহত সুমেলের পিতা মানিক উদ্দিন , চাচা সালেহ আহমদ। আহতদের প্রবাসী মনির উদ্দিন ও মানিক উদ্দিন  আশংঙ্কাজনক অবস্থা বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- চৈতননগর গ্রাম থেকে টুকেরবাজার সড়কের সঙ্গে সংযোগ একটি মাটির রাস্তায় মাটি কাটা শুরু করেন একই গ্রামের সাইফুল আলম। এ সময় তিনি অনুমতি না নিয়ে নজির আহমদ নামে স্থানীয় এক কৃষকের ধানের জমি থেকে মাটি কেটে রাস্তা ভরাট করছিলেন সাইফুল আলম।

নজির উদ্দিন পক্ষের কৃষি জমি থেকে জোরপূর্বকভাবে সাইফুল আলমের লোকজন মাটি কাটা শুরু করে। এক পর্যায়ে নজিরের ভাতিজা সুমেল মিয়া, চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও মনির মিয়া এসে বাধা দিলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডার  এক পর্যায়ে সাইফুল আলম গুলি করলে সুমেল মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। সংঘর্ষ চলাকালে নজির উদ্দিনসহ আরো পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধ নজির উদ্দিন জানান, ‘আমাদের কৃষি জমি থেকে সাইফুল জোরপূর্বকভাবে মাটি কাটছে খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে বাধা দেই। এসময় সাইফুল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। সাইফুলের গুলিতে আমার ভাতিজা সুমেল মারা যায়। আরো চারজন গুলিবিদ্ধ হই।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আসলাম, থানার ওসি শামীম মুসা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা জানিয়েছেন- এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চার জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে রয়েছে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *