স্পোর্টস ডেস্ক::বাংলাদেশে খেলতে এসে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হলো নিউজিল্যান্ডের। সফরকারীদের ৬০ রানে অলআউট করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিউইদের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগেও তাদের সর্বনিম্ন রান ছিল ৬০, সেটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো প্রতিপক্ষের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও এটা। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও এটা কোন দলের সর্বনিম্ন স্কোর।

৬১ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে সাবধানী খেলেছে টাইগার দুই ওপেনার লিটন-নাঈম। কিন্তু পরের ওভারেই আত্নাহুতি দিয়েছেন নাঈম শেখ। ১ রান করেই ম্যাকনকির শিকার হন তিনি। নাঈমের বিদায়ের পর স্কোরকার্ডে ৬ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরলেন লিটন। প্যাটেলের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্ট্যাম্পড হন তিনি। বিদায়ের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সাকিব আর মুশফিক মিলে সাবধানী খেলে স্কোর বাড়াচ্ছিলেন। কিন্তু মুশফিকের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েই রবীন্দ্রর প্রথম শিকার হন সাকিব। ৩৩ বলে ২৫ রান করেন তিনি। দলীয় ৩৯ রানে সাকিব আউট হওয়ার পর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন মুশফিক। মুশফিক ১৬ ও রিয়াদ ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। প্রথম ওভারেই মেহেদী হাসানের হাতে বল তুলে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন প্রথম ওভারেই। ম্যাচের তৃতীয় বলেই কিউই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়েছেন তিনি। অভিষেকেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে আউট হলেন তিনি।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন সাকিব। এসেই উইকেটের দেখা পেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বোল্ড করে ফেরান উইল ইয়াংকে। ১১ বলে ৫ রান করে ফিরেন তিনি। পরের ওভারে নাসুম ফেরান অভিজ্ঞ কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে। মাত্র ১ রান করেন গ্র্যান্ডহোম। এর দুই বল পর আবারও উইকেটের দেখা পেলেন নাসুম। ৬ বলে ২ রান করা ব্লান্ডেল তার আর্ম বলে বোল্ড আউট হন।

টম ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলসের জুটিতে কিউইরা যখন প্রতিরোধ গড়ছে তখনই আবার ছন্দপতন হল নিউজিল্যান্ডের। সাইফউদ্দিন বোলিংয়ে লেগসাইডের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফিরলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ২৫ বলে ১৮ রান করেন তিনি। এরপরের ওভারে সাকিব এসে সাজঘরে ফেরান কোল ম্যাকননচিকে। ৩ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি ম্যাকননচি। এটি সাকিবের দ্বিতীয় উইকেট।

হেনরি নিকোলসের কাঁধেই ছিল নিউজিল্যান্ডকে টেনে তোলার দায়িত্ব। কিন্তু তিনিও ফিরলেন দ্রুত। সাইফউদ্দিনের স্লো বলে উড়িয়ে মেরে ধরা পড়েন মুশফিকের হাতে। ১টি চারের মারে ২৪ বলে ১৭ রান আসে নিকোলসের ব্যাট থেকে।

সাইফউদ্দিনের ২ উইকেটের পর প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছেন মোস্তাফিজ। এজাজ প্যাটেলকে ইনিংসের ১৫তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন। ৬ বলে মাত্র ৩ রান করেন এজাজ। একই ওভারের পঞ্চম বলে ফেরান ডগ ব্রেসওয়েলকে। তার ব্যাট থেকে ৭ বলে ৫ রান আসে। এরপর ডাফিকে ফিরিয়ে মাত্র ৬০ রানে কিউইদের ইনিংসের সমাপ্ত করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাসুম-সাকিব-সাইফ উদ্দিন। তিনটি উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *