আন্তর্জাতিক ডেস্ক::  করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হওয়ার পর এর প্রকোপ থেকে সেরে উঠলেও কেউ দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হবে না—এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তাই যেসব দেশ ‘ইমিউনিটি (রোগ প্রতিরোধী) পাসপোর্ট’ বা ‘ঝুঁকিমুক্ত সনদ’ দিচ্ছে, তাদের সাবধান করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্রিফিংয়ে আজ বলা হয়, প্রথমবার কোভিড–১৯ আক্রান্ত থেকে সেরে ওঠা রোগী এবং যার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তিনি দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হবেন না, এর কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এভাবে প্রথমবার সেরে ওঠা রোগীকে সনদ দেওয়ার ফলে বরং এ ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। আর সেরে ওঠা মানুষদেরও সাবধান হওয়ার দরকার আছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশ্ব অর্থনীতি একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেছে। কিছু দেশ সেরে ওঠা ব্যক্তিদের ভ্রমণ এবং কজে ফেরার অনুমতি দিচ্ছে।

এছাড়া এতদিন যাবৎ যত গবেষণা হয়েছে, সেগুলোতে দেখা গেছে, সেরে ওঠা ব্যক্তিদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তবে কিছু মানুষের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির পরিমাণ খুব কম হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, আজ মধ্যরাতে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত ২৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে খুঁজে পাওয়া গেছে ভাইরাসটি। এর মধ্যে ৮ লাখ মানুষ সুস্থ হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২ লাখ ৬৯৮ জন।

এদিকে, ব্রিটেনে আরও ৮১৩ জনের মৃত্যু, প্রাণহানি সাড়ে ২০ হাজার; আক্রান্ত ১ লাখ ৪৮ হাজারেরও বেশি। স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়াল; প্রাণহানি প্রায় ২৩ হাজার।ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৩’শেরও বেশি; আক্রান্ত ১ লাখ ৯৫ হাজারেরও বেশি।ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ২২ হাজার; আক্রান্ত ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি।

করোনায় প্রথম মৃত্যুর পর ৫০ হাজার ছাড়াতে সময় লেগেছিল ৮২ দিন। এক লাখ মানুষ মারা যেতে সময় লেগেছে ৯০ দিন। আর গত ১৫ দিনে বিশ্বজুড়ে মারা গেছেন আরও এক লাখ মানুষ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *