স্পোর্টস ডেস্ক :: আর পাঁচদিন পরই চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের সঙ্গে শুরু হচ্ছে ওয়ানডে সিরিজ। তাই ঈদের ছুটিটা সেভাবে কাটাতে পারছেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। কী করে পারবেন? আগামী শনিবার (১ জুলাই) সকালেই ঢাকা থেকে বন্দরনগরীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে জাতীয় দলের বহর। তবে তার আগে ঈদের জন্য ছুটি মিলেছে। আর সেই ঈদের ছুটিটা যে যার মতো করে কাটিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
বেশির ভাগ ক্রিকেটারই বাবা-মা তথা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে নিজ আলয়ে চলে গেছেন। শীর্ষ তারকা সাকিব আল হাসান ঈদ করেছেন মাগুরায় বাবা-মা, স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে। কদিন আগে কানাডা থেকে স্ত্রী-সন্তানসহ দেশে ফেরা সাকিব বুধবার রাজধানী ছেড়ে পৌঁছান মাগুরায় নিজ বাড়িতে। সেখানেই গরু কোরবানি করেছেন।
জানা গেছে, আগের মতো এবারও নিজ হাতে কোরবানি করেছেন চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার। তার খুব কাছের এক বন্ধু জানান, সাকিব কয়েকটি গরু কোরবানি করেছেন এবং অন্যবারের মতো এবারও নিজ হাতেই গরু কোরবানি করেন সাকিব।
এদিকে, ‘পঞ্চপাণ্ডবের’ বাকি চার সদস্যের মধ্যে মুশফিকুর রহিমই শুধু ঢাকায় আছেন। রাজধানীতে ঈদও করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। যদিও তার বাবা-মা ও ভাইয়েরা যথারীতি বগুড়ায় নিজ শহরেই ঈদ করছেন। মুশফিকদের মূল কোরবানিটা বগুড়ায়ই হয়েছে।
ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল তার নিজ শহর চট্টগ্রামেই মা ও ভাই নাফিস ইকবালের সঙ্গে ঈদ করেছেন। কোরবানিও দিয়েছেন চট্টলায় নিজ বাড়ীতেই। সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা বরাবরই নড়াইলে নিজ বাড়িতে ঈদ করেন, এবারও তাই করেছেন।
অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবার হজব্রত পালন করেছেন, এখন মক্কায় অবস্থান করছেন তিনি। এছাড়া জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ এবার তার নানাবাড়ি বরিশাল গেছেন ঈদ করতে।
টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হক নিজ শহর কক্সবাজারে বাবা-মা ও স্ত্রীসহ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেছেন। সেখানেই কোরবানি দিয়েছেন।
ইনফর্ম ওপেনার নাজমুল হোসেন, বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও ওপেনার লিটন দাস, তিনজনই ঢাকার বাইরে নিজ নিজ শহরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেছেন। এর মধ্যে নাজমুল রাজশাহী, তাইজুল নাটোর ও লিটন দিনাজপুর এবং বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ সাতক্ষীরায় নিজ বাড়িতে কোরবানি করেছেন।
শুধু দ্রুতগতির বোলার তাসকিন আহমেদ ঢাকায় বাবা-মা ও স্ত্রীর সঙ্গে একত্রে ঈদ করেছেন। তার কোরবানিটাও রাজধানীতে নিজ বাসায়ই দিয়েছেন।