ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ষড়যন্ত্র করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার পর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম ও খুন করার মহোৎসব শুরু করেছিল। তাদের সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনায়েদ আহমদ ও আনছার আলীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম করে রেখেছে। তাদের পরিবার পরিজন, স্ত্রী-সন্তান সহ আত্মীয়স্বজনরা আজও তাদের পথ চেয়ে বসে আছে। যতই গুম-খুন করা হোক না কেন এই ফ্যাসিস্ট সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। অবিলম্বে এম ইলিয়াস আলীসহ গুম করে রাখা সকল নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। না হলে এর পরিণতি হবে খুবই ভয়াবহ।

বুধবার বিকেলে নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র মৌন মিছিলপূ্র্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় সদস্য সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপি সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক।

মৌন মিছিলে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মামুনুর রশিদ মামুন (চাকশু), রেজাউল হাসান কয়েস লোদি, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, এ কে এম তারেক কালাম, ইকবাল বাহার চৌধুরী, শহিদ আহমদ (চেয়ারম্যান), মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, হাজী আব্দুন নুর (চেয়ারম্যান), নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, আব্দুল হাকিম চৌধুরী, আমির হোসেন, বাবু নিহার রঞ্জন দাস, কামরুল হাসান সাহীন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, হুমায়ুন আহমেদ মাসুক, অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, নেওয়াজ বক্ত তারেক, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মকসুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, আবুল কাশেম, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শাকিল মোর্শেদ, শামীম আহমদ, অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, শামীম মজুমদার, লোকমান আহমদ, তাসনিম শারমিন তামান্না, আব্দুল হাফিজ, আফজাল উদ্দিন, রেজাউল করিম আলো, জাকির হোসেন মজুমদার, লল্লিক চৌধুরী, মুফতি নেহাল, হাজী ডা. মো. আশরাফ আলী, অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ, আল মামুন খান, আলী আকবর, আজিজুর রহমান, এনামুল কুদ্দুস চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, সাদিকুর রহমান সাদিক, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, মো. লুৎফুর রহমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, বাদশা আহমদ, মির্জা বেলায়েত হাসান লিটন, আব্দুল হাকিম, আব্দুর রহিম মল্লিক, মো. লুৎফুর রহমান মোহন, মন্জুরুল হাসান মন্জু, অর্জুন ঘোষ, আহাদ চৌধুরী শামীম, সুয়াইব আহমদ শোয়েব, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, মো. তারেক খান, মো. বাচ্চু মিয়া, খায়রুল ইসলাম খায়ের, মো. মিজান আহমদ, রাজন মিয়া, আমিনুল ইসলাম, ফখর উদ্দিন মো. পংকি, আব্দুল মুনিম, সেলিম আহমদ সেলু, ডা. নাজিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, সুলতানা রহমান দিনা, আলাউদ্দিন আলাই, তোফাজ্জল হোসেন বেলাল, আক্তার আহমদ, নাজিম উদ্দিন পান্না, আজিজুল হোসেন আজিজ, দেওয়ান জাকির, মির্জা সম্রাট, আফসর খান, সুদীপ জ্যোতি এষ, দেলোয়ার হোসেন দিনার, আব্দুল আহাদ, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, রফিকুল ইসলাম, নুরুল আমিন দুলু, আকবর হোসেন, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খাঁন, আক্তার হোসেন রাজু, জাহেদ আহমদ, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, মো মাহবুব আলম, জসিম উদ্দিন, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, নাজমুল আলম, জিয়াউল হক জিয়া, রফিকুল ইসলাম রফিক, সাব্বির আহমদ, রাজিব দে, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, মিনহাজ পাঠান, আব্দুস সবুর রাসেল, জমজম বাদশা, মফিজুর রহমান জুবেদ, এ এস এম সায়েম, সুলতান আহমদ, আলী মো. নুরুল হুদা দিপু, সৈয়দ সরওয়ার রেজা, কামরুজ্জামান দিপু, আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, রজব আহমদ, রুনু আহমদ, সৈয়দ আমীর আলী, আব্দুস সালাম শাহেদ, তোফায়েল আহমেদ, মাসরুর রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম জীবন প্রমুখ।

এরপর মুখে কালো কাপড় বেঁধে, গুম হওয়া নেতাকর্মীদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে একটি মৌন মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। মৌন মিছিলে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *