আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: নিজ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাশিয়ার ভাড়াটে ভাগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। আবদ্ধ এবং ছোট্ট একটি জমায়েতের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।

 

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাগনার বাহিনীর একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে প্রিগোঝিনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টায় এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পরে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের নিকটবর্তী একটি সমাধিক্ষেত্রে ৬২ বছর বয়সী প্রিগোঝিনকে সমাহিত করা হয়। এ সময় নিকট আত্মীয়রাই শুধু তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে সক্ষম হন।

 

ভাগনার বাহিনীর টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে বলা হয়, ‘ইয়েভগেনির বিদায় একটি আবদ্ধ পরিবেশে হয়েছে। যাঁরা তাঁকে বিদায় জানাতে চান, তাঁরা পোরোখভস্কয় সমাধিক্ষেত্রে যেতে পারেন।’

 

গত ২৩ আগস্ট রাজধানী মস্কো থেকে নিজ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার পথে ব্যক্তিগত জেট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৯ সহযোগীসহ মারা যান প্রিগোঝিন। এর ঠিক দুই মাস আগেই ভাগনার সেনাদের নিয়ে রুশ সামরিক নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মস্কো অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন তিনি। এ ঘটনার জের ধরে পুতিনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ফাটল ধরে বলে ধারণা করা হয়। প্রিগোঝিনের বিদ্রোহকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’-এর সঙ্গে তুলনা করেন পুতিন।

 

অনেকেই দাবি করছেন, ভাগনারপ্রধান প্রিগোঝিন পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। রুশ গোয়েন্দা বাহিনী এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো।

 

প্রিগোঝিনের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পর্কে এক বক্তব্যে পুতিন বলেছিলেন, ‘তিনি খুব মেধাবী ছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য নিয়ে এসেছিলেন।’

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *