ডায়ালসিলেট ডেস্ক ::   বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক নৈকট্য এবং কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের দাবি নিয়ে কূটনৈতিক শিবিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই টানটান পরিস্থিতিতে আজ ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রীর নতুন একটি বার্তা আদানপ্রদান হল। পণ্য ও যাত্রিবাহী ট্রেনে ব্যবহারের জন্য ১০টি ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিন বাংলাদেশের হাতে তুলে দিল ভারত। ভিডিয়ো পর্দায় উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের রেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছিলেন অন্যান্য কর্তারাও।

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে গতি আনতে গত কয়েক মাস ধরেই সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে সাউথ ব্লকের। আজকের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “সমৃদ্ধি এবং আর্থিক বৃদ্ধির অংশীদার হিসাবে বাংলাদেশ এবং ভারতকে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমি অবশ্যই দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের অংশিদারী শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গঠন করতে প্রধান ভূমিকা নেবে। শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষে তাঁর দর্শনের প্রতি সেটাই হবে সেরা শ্রদ্ধার্ঘ্য। প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের মডেল হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ।’’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলেন, ‘অতিমারির প্রভাবে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে স্থলবাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে সাম্প্রতিক অতীতে দ্বিপাক্ষিক রেল-সহযোগিতা বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েক ধাপ। জুন মাসে দু’দেশের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত করেছে। মোট ১০৩টি ট্রেনকে কাজে লাগানো হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং কাঁচামাল আদানপ্রদানের জন্য।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন আজ তাঁর বক্তৃতায় ভারতকে লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি আমাদের আরও উৎপাদনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করে যাচ্ছেন সড়ক, রেল ও নদীপথে প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে। শক্তিশালী রেল সংযোগ অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা নিয়ে থাকে।’’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *