ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতেই দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করা হচ্ছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সংগঠকদের সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
সাইফুল হক বলেন, রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতেই দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করা হচ্ছে। প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে দ্রুত বিচারের নামে এ পর্যন্ত বিরোধী দলীয় অসংখ্য নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার এখন বিচার বিভাগকে বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ারে পরিণত করেছে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকেও তারা নানাভাবে করায়ত্ত করে ফেলেছে। এটা ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।
দ্রুত বিচার আইন বাতিল করে প্রচলিত আইন ও বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতা কাটিয়ে উঠতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান সাইফুল হক।
তিনি বলেন, জুলুম-জালেমশাহী আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যুবাদের ধর্ম। ভোটের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার হরণকারী বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বিদায় দেওয়া আজ দেশপ্রেমীদের বড় কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি যুব আন্দোলনের সংগঠকদেরকে দেশ ও জনগণকে রক্ষার পবিত্র ব্রত নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিপ্লবী যুব সংহতির সদস্য সচিব মীর রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা স্বাধীন মিয়া, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আবদুল মান্নান রানা, ফাহিম আকতার মিনহাজ, আবুল কালাম, জামাল সিকদার, নান্টু দাস, হাবিবুর রহমান রুবেল, দীপু দাস, মোহাম্মদ নাঈম উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় জাতীয় যুব কনভেনশনের লক্ষ্যে আগামী ১ মার্চ বিপ্লবী যুব সংহতির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভার শুরুতে দেশে গণআন্দোলনে শহিদ ও গাজায় গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

