ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকা, রাজধানী সিওল, এমনকি দক্ষিণ গিয়াংসাং, ইয়োনহাপের মতো দেশের দক্ষিণ-পূর্বের প্রদেশগুলিতে এসে পড়েছে এই আবর্জনা ও মলবহনকারী বেলুনগুলি। এই বেলুনে ভরা আবর্জনা ও মল। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ২৬০টি বেলুন উদ্ধার করেছে তাদের সেনাবাহিনী। এই বেলুনগুলি উত্তর কোরিয়া থেকেই পাঠানো হয়েছে বলে দাবি দক্ষিণের।

 

 

এর আগে থেকেই পিয়ংইয়ং সতর্ক করেছিলেন, শাস্তি হিসাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকায় বর্জ্য বর্ষণ করা হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক বাহিনী পিয়ংইয়ং-এর এই ‘নিম্ন শ্রেণির’ পদক্ষেপের নিন্দা করেছে।

 

সদ্যই যৌথ সামরিক মহড়া শেষ করেছে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি উত্তর কোরিয়া। জবাবে একাধিকবার সাগরে মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়ার দেশ। কিন্তু সেসব নাকি পুরনো হয়ে গিয়েছে। এখন ‘শত্রু’ দেশে আক্রমণ শানাতে মলমূত্র ও আবর্জনায় ভরা বেলুনকেই নয়া হাতিয়ার করেছে পিয়ংইয়ং। এমন অভিযোগ জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

 

 

এ ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি বড় মাপের সাদা রঙের বেলুন। বেলুনগুলির সঙ্গে বাঁধা রয়েছে বস্তা। তার কয়েকটিতে স্পষ্ট লেবেল লাগিয়ে লেখা আছে- ‘মলমূত্র’। এই মল ভরা বস্তা থেকে গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা সিওলের।

 

 

এছাড়া বস্তাগুলিতে কাগজ, প্লাস্টিকের বোতল, খাবারের মোড়কে মতো আবর্জনা রয়েছে। কয়েকটি বস্তায় রয়েছে গাঢ় রঙের মাটি এবং ব্যাটারি। যা থেকে রাসায়নিক কোনও বিপত্তি ঘটতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে।

 

 

এদিকে, উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ , সিওল নাকি এর আগে বহুবার তাদের দেশে বেলুন পাঠিয়েছে। যার মধ্যে বিভিন্ন বিদ্বেষী বার্তা দিয়ে লিফলেট লাগানো ছিল। সেগুলোকে গুলি করে নামানো হয়। যদিও এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কিছু জানায়নি কিমের দেশ উত্তর কোরিয়া।

সূত্র : এনডিটিভি

 

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *