ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% নিয়োগ, মুক্তিযোদ্ধার কোটা ৫%, প্রতিবন্ধী কোটা ১% এবং নৃ-গোষ্ঠি কোটা ১% রায় ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ আদালত ৷ তবে নির্বাহী বিভাগ চাইলে এই কোটার হারে পরিবর্তন আনতে পারবে৷

 

 

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় প্রায় ১২০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির পর রোববার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত মেধায় ৯৩% কোটায় রায় ঘোষণা করে ৷

 

 

এদিকে, শনিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ গত চার দিনে কমপক্ষে ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও লিখেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই পত্রিকা প্রথম আলো ৷

 

 

 

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ, সংঘর্ষের মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়৷ বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও৷ এমনকি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্কারগুলোও হালনাগাদ করা হচ্ছে না৷ তবে শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি ভেঙে বিভিন্নস্থানে প্রতিবাদকারীরা প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে ৷

 

 

 

২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে সরকার কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিল ৷ কিন্তু গত মাসে হাইকোর্ট কোটা পুনর্বহালের রায় দিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় ৷ পরে তারা রাজপথে নেমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে। এ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিরোধীতা করে তাদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রলীগের সাথে সাথে পুলিশও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। এসময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাইদ নামের একজন শিক্ষার্থী। এতে পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হয়ে উঠে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে।

 

 

 

গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ চরম আকার নেয় ৷ সেই অর্থে কোনো বিরোধিতা ছাড়াই চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনেকের মধ্যে এমনিতেই অসন্তোষ রয়েছে বলে মনে করেন দেশের অনেকে ৷ কোটার প্রতি ক্ষোভ মূলত তরুণ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে, মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও যারা চাকরির তীব্র সংকটের মুখে পড়েছেন ৷

 

 

 

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *