স্পোর্টস ডেস্ক :বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) নতুন আসর মানেই যেন ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন মালিক! এবারও নতুন মালিকানায় খেলবে রাজধানীর দলটি। চিত্রনায়ক শাকিব খান এবার ঢাকার মালিকানা কিনেছেন, নাম দিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটালস। হেড কোচ হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়োগ দিয়েছে তারা। দলের আইকন খেলোয়াড় লিটন দাস। দলের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে চিন্তিত সুজন, লিটন রান না করলে মন খারাপ হয় তার। বিপিএলের জন্য গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি গ্রাউন্ডে অনুশীলন শুরু করেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সুজন। সেখানে দল নিয়ে নিজের পর্যালোচনাসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
বিপিএলের ড্রাফটের সময় দলের দায়িত্বে ছিলেন না সুজন। পরে তাকে হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় ঢাকা। দলে লিটন, তানজীদ হাসান তামিম, মুনিম শাহরিয়ার, সাব্বির রহমানদের মতো দেশী খেলোয়াড় আছে। এছাড়া আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লস। সুজন মূলত চিন্তিত মিডল অর্ডার নিয়ে। তিনি বলে, ‘আমি আসলে নিজেও কনসার্ন। কারণ, আমাদের অনেক টপ অর্ডার ব্যাটার। যখন দলটা করা হয়েছে তখন আমি ছিলাম না। আমাদের মিডল অর্ডারটা মেইক শিফট করতে হবে। টপ অর্ডার খেলাতে হবে। তাদের কাউকে না কাউকে খেলাতে হবে, আমি কাকে খেলাব। আসলে ছোট ফরম্যাটের খেলা তো টপ অর্ডার-মিডল অর্ডার বলে কোনো কিছু থাকে না।’
দেশিদের মধ্যে দলে থাকা সাব্বির-মুনিমকে নিয়ে সুজন বলেন, ‘এখনও প্ল্যান ওইভাবে করি নাই। অবশ্যই এখন আমি কিছু বলতে চাই না। সাব্বির অনেকদিন রানে নেই, কয়েকদিন আগেই শ্রীলঙ্কায় খেলে আসল। দুই একটা ইনিংস দেখলাম। হয়তো অল্প সময় ব্যাটিং করেছে। কিন্তু ভালো করেছে। ভালোই মিড করেছে বলে। ওর ভালো দিনে সে দারুণ ক্রিকেটার। তো আশা করি যে, আমার দলে অনেক অফ ফর্মের প্লেয়ার আছে। আমি মনে করি যে, ওই অফ ফর্মের প্লেয়াররা যদি ফর্মে ফেরে তাহলে ঢাকা অনেক ডেঞ্জারাস টিম হবে।’
ঢাকার আইকন খেলোয়াড় লিটন। এখনও ঘোষণা না আসলেও তারই অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে রান খরায় ভুগছেন লিটন। তার প্রতি বিশ্বাস আছে সুজনের। তবে লিটনের মতো ব্যাটাররা রান না করলে মন খারাপ হয় দেশের সাবেক এই অধিনায়কের।
সুজন বলেন, ‘লিটন ক্লাস প্লেয়ার। ডেফিনিটলি ওর একটা ব্রেক দরকার ছিল। ও ব্রেক নিক। অবশ্যই ওর মধ্যে সেই অ্যাবিলিটি আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। সে ওই রকম প্লেয়ার যে একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। বিশ্বাস করি, ওর ভালো সময় এবার আমাদের সঙ্গে হবে। ব্যাটিংয়ে সে আমাদের মেইন স্ট্রেন্থ। লিটন যদি দাঁড়িয়ে যেতে পারে তাহলে আমাদের ব্যাটিংয়ে যারা ইয়ুথ প্লেয়ার আছে, উপরে তামিম-সোহান আছে, মাঝখানে আমাদের ফরেইন যারা আসবে তারাও ভালো খেলোয়াড়। তিনি বলেন, ‘লিটন যেভাবে শুরু করেছিল, সেখান থেকে ঠিক হতাশ বলব না। মন খারাপ লাগে যে এই ক্রিকেটারটা রান করে না। কারণ লিটন রান করলে দেখতেও ভালো লাগে, দলের জন্য উপকার হয়। লিটনের যেখানে থাকার কথা ছিল, সেখানে হয়তো নেই। এটা সত্যি কথাই। তবে এমন নয় যে লিটনের সোনালী সময় শেষ হয়ে গেছে। হয়তো সেরাটা আসার এখনও বাকি আছে। লিটন কঠোর পরিশ্রম করে, সবই করে। কোথাও ওর সমস্যা হচ্ছে, সেটা আমি বলতে পারব না। টেকনিক্যালি বা ট্যাকটিক্যালি কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। কারণ এগুলো নিয়ে অনেক কাজ করেছে। আমার মনে হয়, মানসিকভাবে হয়তো কোনোখানে একটা ব্যবধান

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *