আন্তর্জাতিক ডেস্ক :রাশিয়ার বিরুদ্ধে আজ সোমবার বৃটেনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা  আরোপের কথা। বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এমন ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ সক্ষমতাকে দুর্বল করতেই এমন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তার দেশ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সোমবার আমি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছি। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ভবিষ্যত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন ও এর ইউরোপীয় মিত্রদের বাদ দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। এরই মধ্যে বৃটেনের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞার ওই সিদ্ধান্ত এলো। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ল্যামি বলেন, ইউক্রেনের ইতিহাসে এটি একটি সংকটকালীন মুহূর্ত। ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বৃদ্ধিতে ইউরোপের এটিই উপযুক্ত সময় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ বছর জানুয়ারি পর্যন্ত রাশিয়ার মিত্র এমন ১৯০০ ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে লন্ডন। এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাশিয়ার অর্থনৈতিক, সামরিক, বিমান চলাচল ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য সীমাবদ্ধতা ও ব্যাংকের রাখা সম্পদ জব্দ করার মাধ্যমে এসব নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত অ্যালুমিনিয়ামের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে। ল্যামি তার বিবৃতিতে ইউক্রেনের জন্য বৃটেনের সামরিক সহায়তার বিষয়টি পুনরাবৃত্তি করেন। এর মধ্যে কিয়েভকে বার্ষিক ৩ হাজার ৭৮০ কোটি ডলার সাহায্য দেয়া ও প্রয়োজন হলে ইউক্রেনে সেনা পাঠিয়ে সাহায্য করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।

শনিবার বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পৃথকভাবে ফোনালাপ করেন। ওই ফোনালাপে তিনি ল্যামির বার্তাই পুনরাবৃত্তি করেন। বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন স্টারমার। ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘সেতুবন্ধ’ হিসেবে কাজ করতে ওই সাক্ষাৎ করবেন তিনি। তবে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্প ‘স্বৈরশাসক’ বলার পর স্টারমারের এমন পদক্ষেপ যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে। ওদিকে শুক্রবার ফক্স নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধে স্টারমার এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন কিছুই করেননি বলে তাদেরকে অভিযুক্ত করেন তিনি। ইউরোপিয়ান দেশগুলোর আশঙ্কা যদি ওয়াশিংটন একটি বাজে চুক্তি করতে ইউক্রেনকে বাধ্য করেন তার অর্থ হবে পুতিনের বিজয়। ইউরোপকে থাকতে হবে উজ্জীবিত মস্কোর করুণার মধ্যে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *