ডায়ালসিলেট ডেস্ক::
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের তিন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুলিশ প্লাজাস্থ মাহবুব উল আলম হানিফের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দু’দফায় এ বৈঠক অনুষ্টিত হয়।সকাল ১১টায় ঢাকায় তলব করা সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনকে নিয়ে বৈঠক করেন মাহবুব উল আলম হানিফ।
এক ঘন্টাব্যাপি বৈঠক শেষে মহানগরের দুই নেতা বের হওয়ার পর ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি।
পৃথক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কেন্দ্রে জমা দেওয়া সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়া কিছু অভিযোগের ব্যপারে আলোচনা হয়।কথাবার্তা হয় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও।আলোচনায় উঠে আসে সিলেট ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড ও কমিটি না থাকার বিষয়টিও।আলোচনায় ছিল সম্প্রতি সিলেট এমসি কলেজে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণ এবং এর নেপথ্য কাহিনী।আলোচনার পর দলীয় সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি প্রতিবেদন দাখিল করার কথা জানিয়ে কমিটিতে স্থান পাওয়া না পাওয়া সব নেতাকর্মীকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সিলেট থেকে যাওয়া তিন নেতাকে নির্দেশনা দেন সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি।
বৈঠকের আলোচনার বিষয় সম্পর্কে বৃহস্পতিবার রাতে এমন তথ্য জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি আমাদের নিয়ে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন।সিলেটের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন।কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।দলের সবাইকে নিয়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্টিত হয় গত বছর ৫ ডিসেম্বর।ওই কাউন্সিলে সমঝোতার মাধ্যমে জেলায় অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগরে মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও অধ্যাপক জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দীর্ঘদিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রে জমা পড়ে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি।কমিটি জমা দেয়ার পর পরই সিলেট আওয়ামী লীগের বদবঞ্চিত একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত ও অবমূল্যায়িত ত্যাগী নেতারা বিষয়টি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অবহিত করে তাঁর পরামর্শে বিকল্প আরেকটি কমিটি কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দেন।এর পর থেকে মহানগর আওয়ামী লীগ সিলেটে পৃথক কর্মসূচি পালন করছে।

