প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৫
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার তিনি এই অনুমোদন দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করছে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।
প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালু হবে কবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে স্টারলিংক আজ এ অনুমোদন পেয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝিতে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। স্টারলিংক বাণিজ্যিকভাবে চালুর জন্য একটি অনুরোধ করেছে, যেটা লোকাল গেটওয়ে ছাড়া। সরকার ৯০ দিনের জন্য সে অনুমতি দেবে। এ ছাড়া তারা ট্যারিফ প্ল্যানের (সেবা মূল্য) জন্য কাজ করছে। এ বিষয়ে তারা বিটিআরসিতে আবেদন করবে।
প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার।
প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বিশেষ সহকারী বলেন, বাংলাদেশের হাওর-বাঁওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি, সেখানে দ্রুত সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্ব উদ্যোগী হয়ে স্পেইসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলো মধ্যে একটি প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটি আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২৫ মার্চ এ সংক্রান্ত লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। এই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদন করা লাইসেন্স ইস্যুর জন্য ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech