ডায়াল সিলেট ডেস্ক:-
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর লাউড়েরগড় ও শাহিদাবাদ এলাকা থেকে ইজারা বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মামলার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। মামলার বাদী উপজেলার পুরানঘাট গ্রামের মোশাররফ হোসেন আরিফ তালুকদার, যিনি যাদুকাটা বালুমহাল-১ এর ইজারাদার নাছির মিয়ার ভাগ্নে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, যাদুকাটা নদীর লাউড়েরগড় বিওপি ক্যাম্পের পশ্চিম পাড়ে সরকারি খাস জলাভূমি ও নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় একটি চক্র। ইজারাদার পক্ষ থেকে নিষেধ করা হলেও তারা তা অমান্য করে লুট অব্যাহত রাখে। এমনকি পাহারারত দুই প্রহরীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগও রয়েছে।
এছাড়া, অভিযুক্তরা ভবিষ্যতেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এসব কার্যকলাপে যাদুকাটা নদীর পাড় ভেঙে পরিবেশ ও নদীর ভূ-প্রকৃতি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
এর আগে গত ৬ অক্টোবরের পর থেকে টানা পাঁচদিন ইজারা বহির্ভূতভাবে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বালু লুট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, বালু লুটের নেতৃত্বে ছিলেন লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ূম ওরফে খেলু মাস্টার এবং স্থানীয় বাসিন্দা খাজা মাঈনউদ্দিন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান মানিক বলেন, “যারা বালু লুট কাণ্ডে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”

