এবারই প্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বড় কোন ক্রীড়া ভিত্তিক আসরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হলো।
বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টায় টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাডে চত্বরে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলন করে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন বিওএ-এর সভাপতি ও সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এরপর বেলুন উড়িয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইলিয়াস হোসেন ও সাবেক ভলিবল খেলোয়াড় জেসমিন খান পপির হাতে মশাল তুলে দেন। পরে তারা মশাল হাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
এরপর বিভিন্ন স্থানে ১০টি ভাগে ভাগ হয়ে মশাল বহন করেন ২০ জন ক্রীড়াবিদ। মশালটি টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে মাওয়া ফেরিঘাট হয়ে প্রথমে যাবে বিওএ-র কার্যালয়ে। সেখান থেকে গেমসের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেয়া হবে বলে জানাগেছে। এ মশাল বহনে অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত সাবেক খেলোয়াড়রা।
বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে দেশের সাতটি জেলার ২৯টি ভেন্যুর এই ক্রীড়াযজ্ঞে ৩১ ডিসিপ্লিনের ৫ হাজার ৩শ ক্রীড়াবিদ ১ হাজার ২৭১টি পদকের জন্য লড়বেন। এর মধ্যে সোনা ও রৌপ্য পদক রয়েছে ৩৭৮টি। তবে করোনা মহামারির প্রকোপ মাথায় রেখে খোলোয়াড়দের কোভিড টেষ্টসহ নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস ২০২০-এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।