ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: একটি ভূমিখেকো চক্রের মামলা-অপবাদে হয়রানির শিকার হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের লিলাপাড়া ছড়ারপার গ্রামের মৃত ফুরকান আলীর ছেলে মো. রিয়াজ আলী ( ৭০)। তার পৈতৃক ভিটেমাটি দখল করতে একের পর এক মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে ওই চক্র। তাদের সার্বিক সহযোগীতা করছেন সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজ আলী এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে তিনি সপরিবারে আত্মহত্যারও হুমকি দেন। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিয়াজ আলীর আত্মীয় নুরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার পৈতৃক ভিটেমাটি কেড়ে নিতে সিলেট নগরের একটি ভূমিখেকো চক্র একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে তাকে ও তার ছেলেদের নিঃস্ব করে ফেলেছে। ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত চারটি মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে তারা এখন অসহায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সর্বশেষ গত ১০ জুলাই ওই ভূমিখেকো ও মামলাবাজ চক্রের কেয়ার টেকার নগরীর তোপখানার মখলিছ আলীর ছেলে আক্কাছ আলী আবারও ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার কারণে তার পাঁচ ছেলে এখন বাড়িছাড়া। তিনি বলেন, মামলাটি রেকর্ডের আগে বারবার তদন্ত কর্মকর্তা পাল্টানো হয়েছে। শুনেছি ওসি মাইনুল জাকির মোটা অংকের টাকা খেয়ে তৃতীয়বার বিনা তদন্তেই মামলাটি রেকর্ড করেছেন। তিনি একজন অসৎ অফিসার। তিনি বিএনপি-জামায়াতের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকলেও তিনি ২২ জুলাই সপরিবারে রাতারগুল ভ্রমণে গিয়েছেন এবং তার সাথে থাকা নারী ও শিশুরাও ছিলেন মাস্কবিহীন। আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে অসহায় নারী ও শিশুদের হয়রানি করছেন। এছাড়াও চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের সাথে সখ্যতার মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে হয়রানীর অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, এর আগে ২০১৬ সালেও ওই ভূমিখেকো চক্র আমাদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা ( নং ১৬/১০৫), ২০১৫ সালেও মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়েছিল (নং ৮/১৭০)। ওই মামলা আমরা বেকসুর খালাস পাই। কিন্তু মামলা চালাতে গিয়ে আমরা একেবারে নিঃস্ব রিক্ত হয়ে পড়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচতে চাই। কিন্তু পুলিশ আর ভূমিখেকোদের কারণে তা সম্ভব হচ্ছেনা।
রিয়াজ আলী সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন পৈত্রিক ভিটেমাটি রক্ষা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে এসএমপি কমিশনার, জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইজিপি বরাবর অভিযোগ জমা দিয়েছি। আমাদের অবস্থা এমন হয়েছে যে, আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছিনা। তিনি তার ভিটেমাটি ও আত্মহত্যা থেকে রক্ষা এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে তার পরিবারকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।